বঙ্গবন্ধুর খুনি মুসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর ||



ভিডিওটি দেখুন....

বঙ্গবন্ধুর খুনি মুসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর ||
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি রিসালদার মুসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। মঙ্গলবার তারা জানায়, সীমান্তের কোনো একটি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়।
তবে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা। তিনি বলেছেন, তারা বিষয়টি শুনেছেন, কিন্তু তাদের কাছে এ সম্পর্কে কোনো আপডেট নেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম আরও জানায়, ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা অভিযানটি পরিচালনা করায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সে সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। এতে আরও বলা হয়, এর আগে মুসলেহ উদ্দিনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হলে তাতে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ওই ছবি প্রকাশের পর বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছিলেন, মুসলেহ উদ্দিন কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়, এর আগে গ্রেফতার বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদই রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানান।
এদিকে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, সম্ভবত মোসলেম উদ্দিনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে অপেক্ষায় আছে।
এর আগে সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় মোসলেম উদ্দিনকে উত্তর চব্বিশ পরগনার একটি গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদকে ৭ এপ্রিল গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে দেওয়া পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, সে দেশের গোয়েন্দারাই মাজেদকে আটক করে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেন। এরপর ১২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়। মাজেদ ২২-২৩ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তিনি সে দেশের পাসপোর্টও নিয়েছিলেন।
মোসলেম উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সত্য হলে এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার খুনি পলাতক থাকলেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী ও এ এম রাশেদ চৌধুরী।
এ ছাড়া খুনিদের মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। ওই রায় কার্যকরের আগেই ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।

Comments